বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১২:১১ অপরাহ্ন
লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে ৫২ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের কৃষক নজরুল। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। শনিবার সকালে খবর পেয়ে উপজেলা যুবলীগের পক্ষে সভাপতি, কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফুল ইসলাম সেখানে ছুটে যান।
উপজেলা পর্যায়ের যুবলীগের ৩০ জন নেতাকর্মী নিয়ে যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শনিবার সকালে থেকে কৃষক নজরুলের ৫২ শতাংশ জমির ধান কেটে মাড়াই করে দেন। হঠাৎ রাজপথের যুবলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা।
যুবলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক নজরুল বলেন,লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ভাই আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার ৫২ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন। যুবলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।
কথা হলে সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জানান,করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে অন্য এলাকার শ্রমিক এখানে আসতে পারেননি। এদিকে কৃষক নজরুলের ৫২ শতাংশ জমির ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। তার অসহায়ত্বের কথা শুনে উপজেলা ও কামরাবাদ ইউনিয়নের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার ধান কেটে দিয়েছি। এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply