রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের নকলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক অসহায় পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর করে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশিদের বিরোদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার উরফা ইউনিয়নের হাসনখিলা দক্ষিনপাড়া এলাকায়। ভূমিটি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকাদ্দমা চলতেছে বলেও স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, জবান আলী নামের এক ব্যক্তির নিকট ১০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে বসতবাড়ি করে বসবাস করতেছিল হাসনখিলা দক্ষিনপাড়ার বিল্লাল মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যাক্তি। বিল্লাল মিয়া রোববারে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায পরিবারের লোকজন। ওই সুযোগে প্রভাবশালী প্রতিবেশি নায়েব আলী, আফাজ উদ্দিন, আবুল কাসেম ও আকাব্বর গংরা বাড়িঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল নিয়ে যায় এবং বসতভিটায় থাকা গাছগুলোও কেটে নিয়ে যায়। এসব কাজে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন বিল্লাল মিয়ার মেয়ে শাহনাহাজ বেগম, মেয়ের জামাতা নূর মোহাম্মদ, আশিকুর রহমান ও আনোয়ারা বেগম নামের এক বৃদ্ধা।
বিল্লাল মিয়া বলেন, আমি জবান আলীর নিকট থেকে ১০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে বাসতবাড়ি করে থাকতেছি। আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমার মেয়ে শাহনাজ বেগম ও জামাতা নূর মোহাম্মদকে বাড়ি রেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে যাই। এই সুযোগে প্রতিবেশি প্রতিবেশি নায়েব আলী, আফাজ উদ্দিন, আবুল কাসেম ও আকাব্বর গংরা বাড়িঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল নিয়ে যায়। পরে আমার ঘর আগুন লাগিয়ে পুড়ে দেয় এবং ভিটায় থাকা গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়।
নায়েব আলী গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বাড়িঘর ভাংচুর, মালামাল লুট এবং আগুন দিয়ে পুড়ার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, বিল্লাল মিয়া যে জমির দাবী করছে সেটা মূলত আমাদের ওয়ারীশ সূত্রে পাওয়া। তারাই আমাদের জায়গাতে ঘর তুলেছে।
উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক হীরা বলেন, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা মোকাদ্দমা চলছে। আদালতই সিদ্ধান্ত দিবে ওই জমির প্রকৃত মালিক কে। তবে বাড়িঘর ভাংচুর করে মালামালসহ গাছ কেটে নিয়ে নায়েব আলীরা ঠিক করেনি।
Leave a Reply