রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ রাশিদ নাইফ প্রিনন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুর জেলা পীরগঞ্জ উপজেলা ৬নং টুকুরিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ দুর্গাপুর, মোনাইল, টিয়োরমারী, বিছনা, সাতুয়া মৌজায় করতোয়া নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা। এতে ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে।
ভুক্তভোগী টিয়োরমারী গ্রামের শাহাদাত হোসেন বলেন, করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটে নিচ্ছেন। এমনকি অন্যের জমি খনন করেও তারা বালু উত্তোলন করছেন। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে আমাদের অনেক কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তাই আমি সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের পীরগঞ্জের অভিভাবক জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডাঃ শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকায় বসবাসকারী ফারুক বলেন, প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা উপজেলার খালাশপীর হাটের পশ্চিমপাশে করতোয়া নদীর উপর তীরবর্তী কয়েক মৌজায় অন্তত ২০টি স্থানে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তুলছেন। শুধু মাত্র দুর্গাপুরে মৌজায় কয়েক মিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন চলে প্রতিদিন ৭ থেকে ১০টা। টিয়োরমারী গ্রামের লুৎফর রহমান বলেন, এতে নদের তীরে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমি ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। তাই শুধু মাত্র অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করলে আমরা বাঁচব না সেই জমি গুলো বাচাতে হলে নদী তীর ব্লক দিয়ে বেধে দিতে হবে তা না হলে আমাদের সব জমি নদী গর্তে বিলিন হয়ে যাবে। টিয়োরমারি, করতোয়া নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালীদের আমরা অনেক বালু ব্যবসায়ীকে অনুরোধ সত্ত্বেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। সারা দিনরাত ট্রাকে বালু পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ধ্বসে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবার বালু তোলার কারণে করতোয়া নদী তীরবর্তী ফসলি জমি ও বাড়িঘর হুমকির মুখে এখন। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি। দুই বছর ধরে এই ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু চক্র আমরা দেখেছি যে এতো দীর্ঘ সময় কোন এলাকার বালু উত্তোলন করে নাই। প্রশাসন তা বন্ধ করে দিয়েছে এখানে কেন দিচ্ছে না আমরা বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে কোন সারা পাওয়া যায় নাই।
Leave a Reply