মাসুদুর রহমান 

বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় মিমাংসার নামে ৭ দিন পার করলেন প্রতিপক্ষ শামীম। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বসত বাড়ি ভাংচুর, নারীদের মারধর ঘটনায় মিমাংশার জন্য থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি সুরুজ্জামানের পরিবার ।

জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে সুরুজ্জামান তার খালা মরহুম ময়েন উদ্দিনের মেয়ে আছিয়া খাতুনের থেকে ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল ৩৫৬৯ দাগে ১৩ শতাংশের কাতে ৬ শতাংশ জমি সাফ কবলা নেন।তারপর থেকেই জমিটি আত্মসাৎ করার জন্য একই গ্রামের শামছুল হক এর ছেলে প্রবাসী শামীম ও তার পরিবাররা বিভিন্ন পায়তারা শুরু করেন। সোমবার (২৩ আগস্ট) শামীম সৌদি থেকে বাড়ীতে আসেন। বাড়ীতে এসেই কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া ও তার পরিবার নিয়ে ২৮ আগস্ট শনিবার দুপুরে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে বাড়ী ভাংচুর ও বাড়ীতে থাকা কয়েকজন মহিলাদের মারধর করে। বসতঘরে ভাংচুর ও মারপিট করে ক্ষান্ত হয়নি, থানায় অভিযোগ দিতেও আসতে দেইনি তারা বলে জানিয়েছেন সুরুজ্জামান। অনলাইন দৈনিক আলোচিত সকাল এ সংবাদটি প্রচার হলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বসে মিমাংসার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ শামীম। ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও আজ না কাল এভাবেই সুরুজ্জামানকে ঘুড়াচ্ছেন।

সুরুজ্জামান কি এলাকায় সঠিক বিচার পাবে?

শামীমের টাকার কাছে কি সবাই বিক্রি হবে?

এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মাতাব্বর জানান,শামীম দীর্ঘদিন পর বাড়ীতে এসেছে৷ সুরুজ্জামানের জায়গা রাস্তার পার্শে হওয়ায়, সেই জায়গায় শামীম দখল করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে চায়। রাস্তার পার্শে জায়গাটি শামীম যেভাবেই হোক দখল করবেই। কারণ তার প্রচুর টাকা হয়েছে,তাই এলাকা এবং অন্য এলাকা লোকজন ভাড়া করে এ জমি দখল করবে বলে শুনতেছি। সুরুজ গরীব মানুষ। তার পক্ষে তো আর এতো টাকা খরচ করা সম্ভব না। সুরুজ কখন কোথায় যাচ্ছে সব কিছুই ওরা নজরে রেখেছে। শামীম হয়তো এ জমি তার দখলে নিয়ে ৪ মাস পর আবার বিদেশ চলে যেতে পারে।

সুরুজ্জামানের স্ত্রী নাজমা জানান,বাড়ীতে আমার স্বামী সুরুজ্জামান না থাকায় হঠাৎ করে এসেই আমাদের বাড়ী ভাংচুর করে।আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। তবে যেতে যেতে এ হুমকি দিয়ে যায় যে, পরিবারের কাউকে রাস্তায় পেলে খুন করা হবে। এমনকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেয় হামলাকারীরা।

কথা হলে শামীম জানান, যে জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে সেটা নিয়ে এলাকার মাতাব্বররা বসে সমঝোতা করে দিবে।
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার হিটলার মিয়া জানান, ঘটনার বিষয়ে আমাকে কোন পক্ষ জানায়নি। আর ঘটনায় আমি অবগত নয়।