জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকার দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামে সাড়ে তিন বছর আগে বন্যার সময় সাতপোয়া ও বলারদিয়ার সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথেই মাটি নিচ থেকে সরে দিয়ারকৃষ্ণাই সেতুটি ডেবে যায়। এরপর আর বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও সড়ক বা সেতু সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতপোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বালিয়া সেতু পর্যন্ত সড়কের দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামের গাঘদার খালের ওপর ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রায় ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে। ২০১৭ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। কিন্তু এক বছর পরই বন্যায় সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতুটিও ডেবে যায়।
মাইজবাড়ি, সাতপোয়া, খাগুরিয়া, দিয়ারকৃষ্ণাই, চর বালিয়া, বলারদিয়ার, ও চরহাটবাড়ী —এই সাতটি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন। কিন্তু সেতুটি দেবে যাওয়ায় ও সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সাতপোয়া গ্রামের তুষার আলী (৩২) জানান, সাড়ে তিন বছর ধরে সেতু আর সড়কটি এভাবে পড়ে আছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই সড়কটি ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবেল মিয়া বলে, ‘এই সেতু দিয়ে স্কুলে যাইতে ভয় করে। কহন যেন নিচে পড়ে যাই।’
সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারবিন নাহার বলেন, এই সড়ক ও সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে। কিন্তু সেতু ও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় অনেকেই নিয়মিত স্কুলে আসতে চায় না।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ূন কবীর বলেন, বন্যার কারণে ওই সড়ক আর সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে। তখন আর মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ থাকবে না।
কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জানান, নতুন প্রকল্প এলেই সেতু ও এর সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply