বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৫ সালের ১ লা জুন যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ, অভিভাবক ও শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে আসছেন তিনি । ২০১৫-২০১৬, ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বৎসরে ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ১২ টাকা ০১ পয়সা অনিয়ম, ভূয়া ভাউচার ,ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১০ এপ্রিল ওয়াজেদা পারভীনকে ছুটি ও ১১ এপ্রিল বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান সামাদকে প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে নোটিশ প্রদান করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহজাদা। এ ছাড়াও এন টি আর সি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) নিভা রাণী পাল এর নিকট থেকে এমপিও করা বাবদ ১লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নেন।নিভা রাণী পাল এর নিকট টাকা না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ধার নিয়ে প্রধান শিক্ষককে দেন যা নিভা রাণী পাল প্রতি মাসে বেতন থেকে পরিশোধ করছেন বলে তুলে ধরে গত ২৫ এপ্রিল বিদ্যালয় পর্ষদের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিভা রাণী পাল।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়,২০১৬ সালে ১৬ জুলাই রুপালী ব্যাংক লিঃ আরামনগর বাজার শাখায় জামালপুর স্টেশন রোড ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যাক্তিগত সঞ্চয়ী হিসাব (নং-৫৯২৬০১০০০০৩১৯) খুলেন ওয়াজেদা পারভীন। তারপর থেকেই ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের নিজ নামীয় ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে রশিদের মাধ্যমে অর্থ আদায় করতে থাকলে সমালোচনা শুরু হলে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর নামে যৌথ স্বাক্ষরের মাধ্যমে রুপালী ব্যাংক লিঃ আরামনগর বাজার শাখায় চলতি হিসাব (৫৯২৬০২০০০০১৩৫) খোলা হয়। ওয়াজেদা পারভীনের ব্যক্তিগত সঞ্চয়ী হিসাব খোলার পর ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত ৩৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৮১ টাকা জমা ও ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৩১ টাকা উত্তোলন করা হয়।বিদ্যালয়ের চলতি হিসাবে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ৪১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬০ টাকা জমা ও ২০১৬ সালের ২ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৬০ টাকা উত্তোলন করা হয়।এদিকে ছাত্রীদের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে ওয়াজেদা পারভীনের ব্যক্তিগত সঞ্চয়ী হিসাবে আদায় হওয়া অর্থ কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
পুনরায় বিদ্যালয়ে যোগ দানের জন্য নানা পায়তারা শুরু করেছেন ওয়াজেদা পারভীন বলে গোপন সুত্রে জানা যায়। ওয়াজেদা পারভীনের বিভিন্ন অপকর্ম ও দুর্ণীতির সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থার জোর দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, সচেতন মহল সহ স্থানীয় এলাকাবাসী৷
মুঠোফোনে কথা হলে ওয়াজেদা পারভীন বলেন, আপনি বিষয়টি নিয়ে সভাপতি সাহেবের সাথে কথা বলুন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পর্ষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহজাদার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply