বুধবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১১:৫০ অপরাহ্ন
মোঃ তরিকুল ইসলাম-
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিনের খালিয়া বিশ্বাস গ্রামের অসহায় গরীব সূর্য বেগমের নেই মাথা গোজার ঠাই।সূর্য বেগম একজন দরিদ্র মানুষ, মানুষের দারে দারে চেয়ে খেয়ে জীবন যাপন করেন।মরহুম আজিজ বিশ্বাস এর মেয়ে অসহায় নারী সূর্য বেগম। প্রায় ২৫ বছর পুর্বে তার স্বামী মারা যায় বলে সূর্য বেগম জানান।
জানা যায় , বিধোবা ভাতার কার্ড ছাড়া, সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা থেকে সুর্য বেগম বঞ্চিত। প্রতিমাসে বিধবা ভাতার কার্ড থেকে যে টাকা তিনি উত্তোলন করেন সেটি তার চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়ে যায়। প্রতিটা গ্রাম থেকে চেয়ে চিন্তে কোন রকম সংসার চলে তার । এখন বয়সের ভারে চোখের সমস্যার কারনে চলাফেরা করতে পারেনা তিনি ।বসবাস করার মতন নেই কোন বাড়ী-ঘর ও জায়গা জমি। শহিদ নামে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে থেকে মানুষের দারে দারে এই প্রখর রোদ এবং ভয়াবহ করোনা ভিতর রোজা থেকে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন তিনি।
সূর্য বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমার ছেলে মেয়ে নেই। সারা দিন রৌদে পুরে পায়ে হেটে মানুষের দারে দারে চেয়ে এনে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছি। এখন বয়সের ভারে চোখের সমস্যার কারনে কোথাও বের হতে পারছিনা।যদি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাকে একটি সরকারী ঘর ভিক্ষা দিতেন, তাহলে আমি কষ্টের বাকিটা জীবন , সুখে কাটাতে পারতাম ।
এলাকা বাসী জানান , এই গরীব অসহায় মহিলাটি সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য এবং আজ থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে মানুষের দারে দারে চেয়ে জীবন যাপন করছে। সমাজে দেখা যায় যারা আয় রোজগার করতে পারে তাদের বাড়িতে সরকারি ঘর আছে অথচ এই গরীব অসহায় মহিলাটি কেন পেলো না ঘর?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীৱ নিকট এলাকাবাসীর দাবি সূর্য বেগমকে একটি সরকারী ঘর দিলে এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ থাকিবে।
Leave a Reply