রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
স্বামীকে মৃত দেখিয়ে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারানদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ১২জন নারী সমাজসেবার আওতায় বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। এমন অভিযোগ তুলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে টনক নড়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের।
গত ২৬ আগস্ট নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবরে স্থানীয় এলাকার এক যুবকের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় এসকল ভাতার কার্ড বাতিল করেছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর। সেইসাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার পর প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আলাল উদ্দিন।
পাশাপাশি প্রকৃতভাতা পাওয়ার যোগ্যদেরকে এর আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ১২ জনের মধ্যে দুজন নারীর স্বামী চলে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে আবার ফিরে এসেছে। এগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার্ডগুলো ইস্যু করতে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা লাগে সেজন্য যদি কেউ তথ্য গোপন করেন সেটি অনেক সময় বুঝা যেতো না। ফলে এমন ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে সকল ধরনের ভাতা দেয়া হচ্ছে। যাচাই বাছাইও করা হচ্ছে। যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দেয় সেটি সফটওয়ার নিজেই ধরে ফেলে।
নির্বাচন কমিশনের সাথে সমন্বয় করে সফটওয়ারের মাধ্যমে এখন বয়স দেখা হয়। যেমন ইতিমধ্যেই সম্প্রতি কেন্দুয়া উপজেলায় জাল জাতিয়াতি করে বয়স বাড়িয়ে কার্ডধারী ৭ শ’ জনের ভাতার কার্ড বাতিল হয়েছে। এতে করে প্রকৃত ভাতাভোগীরা আবেদন করতে পেরেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, জেলায় বিধবাভাতার মোট ৪৭ হাজার ২৭৮ জনের পূর্বধলায় পাচ্ছেন ৪ হাজার ৫৪৩ জন। তার মধ্যে পূর্বধলা উপজেলার নারানদিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বারের যোগ-সাজসে একটি চক্র গ্রামে গ্রামে স্বচ্ছল কৃষকদের টার্গেট করে সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে দেয় বিধবা ভাতার কার্ড। আর এসকল কার্ডের মাধ্যমে গত ২০১৮ সন থেকে প্রদেয় ভাতার ৬ মাসে ৩০০০ করে অর্থ উত্তোলন করে আসছিলেন তারা।
স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতার কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলনের ঘটনা এলাকায় প্রকাশ পেলে সর্ব সাধারণের মধ্যে এবং প্রকৃত বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply